বিবরণ
অরুণ তলোয়ার হাতে উঠে দাঁড়াল। মন্দিরের বাইরে তার ঘোড়া অপেক্ষা করছে। সঙ্গে তারকানাথ বাবু ও কয়েকজন সশস্ত্র দেহরক্ষী। সে রত্নেশ্বর ঠাকুরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতেই ঠাকুর আবার তাকে ডাকলেন।
তারপর শান্ত, সৌম্য কণ্ঠে বললেন, ‘আর মানুষের সবচেয়ে বড় ক্ষতটা শরীরে হয় না, হয় মনে। শরীরের ক্ষত দৃশ্যমান বলে তা সকলে দেখতে পায়। ব্যাথাটা বুঝতে পারে। সারাতে উদগ্রীব হয়ে ওঠে। কিন্তু মনের ক্ষত মানুষ নিজে ছাড়া আর কেউ দেখতে পায় না বলে তা সারাবারও কেউ থাকে না। তাই ওটা নিজেকেই সারিয়ে তুলতে হয়। আর যে মানুষ নিজেই নিজের মনের ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে, তারচেয়ে শক্তিশালী আর কেউ নেই। সে-ই সবচেয়ে বড় যোদ্ধা। আর জানোই তো, যে যত বড় যোদ্ধা, সে তত বড় বিজয়ী। সুতরাং যে কোনো যুদ্ধে জিততে চাইলে সবার আগে নিজের অন্তরের ক্ষত নিজেকেই সারাতে জানতে হবে।’
রিভিউ
কোনও রিভিউ জমা হয় নি